The news is by your side.

মস্কো: বিমান বিধ্বস্তে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের মৃত্যু

0 115

 

মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার সময় প্রাইভেট জেট বিধ্বস্তে প্রাণ হারিয়েছেন রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে ভোলগা এবং টভার্টসা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত রাশিয়ান টভার অঞ্চলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানটি টভার অঞ্চলে মাটিতে পড়ে যায়। এতে তিন ক্রু এবং সাত জন যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিল ‘এমব্রায়ার ১৩৫বিজে লিগ্যাসি ৬০০’ নামের বিমানটি। রুশ ফেডারেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি রোসাভিয়াতসিয়া জানিয়েছে, প্রিগোজিনসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ ওয়াগনার কমান্ডার বিমানটিতে ছিলেন।

বিমান বিধ্বস্তের বেশ কয়েকটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি আপাতদৃষ্টিতে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাটির দিকে পড়ে যায় এবং কালো ধোঁয়ার চিহ্ন রেখে যায়। তবে বিমানের কোন অংশে আগুন লেগেছে, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থল থেকে তোলা অন্যান্য ভিডিওতে ঘাসের মধ্যে বিমানের জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

প্রিগোজিন ছাড়াও বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে রাশিয়ার সাবেক স্পেশাল ফোর্স অপারেটর এবং পিএমসির সহ-প্রতিষ্ঠাতা দিমিত্রি উতকিনও ছিলেন। উল্লেখযোগ্য অন্যরা হলেন- সের্গেই প্রপুস্টিন, ইভগেনি মাকারিয়ান, আলেকজান্ডার তোটমিন এবং নিকোলাই মাতুসেভ।

রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের আস্থাভাজন প্রিগোজিন ২০১৪ সালে ওয়াগনার গ্রুপ নামে একটি বেসরকারি সামরিক সংস্থা (পিএমসি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি রাশিয়ার ক্যাটারিং শিল্পের একজন সফল ব্যবসায়ীও। ওয়াগনার সৈন্যরা আফ্রিকার একাধিক দেশ এবং সিরিয়ায় অভিযান চালিয়েছে। যেখানে তারা ২০১৮ সালে মার্কিন বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। ইউক্রেনের বাখমুত শহরের কয়েক মাস ধরে চলা যুদ্ধে ওয়াগনার সৈন্যরা লড়াই করার সময় প্রিগোজিন গণমাধ্যমে নিয়মিত যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিবৃতি দিয়েছিলেন।

চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়েছেন প্রিগোজিন। রাশিয়ান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। যুদ্ধে নানা অস্ত্রের অপব্যবহার এবং ওয়াগনারকে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রিগোজিন।

রাশিয়ান বাহিনীর উপর নানা ক্ষোভের মধ্যে গত জুনে প্রিগোজিন জানান, রুশ সেনাবাহিনী ওয়াগনারের ফিল্ড ক্যাম্পে গোলাবর্ষণ করেছে। যেখানে ওয়াগনার সৈন্যরা বাখমুত দখলের পরে বিশ্রাম নিচ্ছিল এবং পুনরায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। ওয়াগনার প্রতিষ্ঠাতা তখন ঘোষণা করেছিলেন, তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের অপসারণের জন্য মস্কোতে একটি পদযাত্রায় তার বাহিনীর নেতৃত্ব দেবেন।

পুতিন এই বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ হিসাবে বর্ণনা করেন এবং শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য ‘সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ’ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেনা নিয়ে মস্কো অভিমুখে পদযাত্রা শুরুর একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থামানো হয়।

প্রায় দুই মাসের নীরবতার পর প্রিগোজিন একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওটি আফ্রিকায় ধারণ করা হয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.