The news is by your side.

মন্দার মুখোমুখি চিন! অর্থনীতি সামলাতে হিমশিম জিনপিং!

0 101

দেশে দেশে নুইয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মানদণ্ড। ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ মন্দার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। হালে মন্দার কথা জানিয়েছে নিউ জ়িল্যান্ডও।

ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানি। এখন তারাও মন্দার পথে। ইউরোপের আরও ১৯টি দেশে অর্থনীতির সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা কারও অজানা নয়। দেশটির অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল কিছু দিন আগেই। যা থেকে রাজনৈতিক সঙ্কটও জন্ম নেয়। আগুন জ্বলে ওঠে শ্রীলঙ্কা জুড়ে।

ভারতের আর এক পড়শি পাকিস্তানের অর্থনীতিও নড়বড়ে। আইএমএফ ঋণ দেওয়ার বন্ধ করার পর দেশটি কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। অবস্থা এতই করুণ যে, এ বছর হজের কোটা তুলে নিয়েছে ইসলামাবাদ।

ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাঙ্ক, সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক এবং সিগনেচার ব্যাঙ্ক পর পর দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। যা অর্থনীতির দুনিয়ায় তৈরি করেছে নতুন সঙ্কট। অর্থনীতির এই টানাপড়েনে বাদ পড়েনি চিনও।

চিন এমন একটি অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে প্রবেশ করছে, যাকে বলে ‘ব্যালেন্স শিট রিসেশন’। এতে বিনিয়োগ করে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধির চেয়ে মানুষ ঋণের অঙ্ক হ্রাসের দিকে বেশি নজর দেয়। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি।

তাইওয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড কু ‘ব্যালেন্স শিট রিসেশন’ কথাটির প্রচলন করেন। তিনি জাপানের নোমুরা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ।

‘ব্যালেন্স শিট রিসেশন’ শব্দবন্ধ এমন এক অবস্থাকে চিহ্নিত করে, যখন পারিবারিক এবং ব্যবসায়িক সম্পদের মূল্য কমে যায়। এতে অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়। মানুষ আরও বেশি করে অর্থ সঞ্চয়ের দিকে ঝোঁকে। কমে যায় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই চিনে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশের বেশ কিছু বড় ব্যাঙ্ক তাদের টাকা জমা দেওয়া বা আমানতের হার কমিয়ে দিয়েছে। চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক শর্ট টার্ম পলিসি রেট ১০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ১.৯ শতাংশ করেছে।

চিনে উৎপাদন বৃদ্ধির আশায় বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ট্যাক্স ইনসেন্টিভ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নীতি নির্ধারণকারীদের আশা, এতে শিল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদনে লক্ষ্মীলাভ হবে।

চিনের অন্যতম বড় সমস্যা জন্মহার কমে যাওয়া। সেখানে মানুষ বিয়ে করে সংসার পাততে আগ্রহী নন। সন্তানের জন্মও দিতে চান না অনেকেই। এই সমস্যার সমাধানে চিনা অর্থনীতিবিদ রেন জ়েপিং একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন।

তবে চিন অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হলে সারা বিশ্বেই তার প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। কারণ চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। অর্থনৈতিক মানের বিচারে আমেরিকার পরেই তার স্থান।

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.