দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মন্ত্রিসভায় রেকর্ড সংখ্যক নারীকে স্থান দেওয়া হয়েছে, এ পদক্ষেপকে নারী ক্ষমতায়নের পথে আরেক ধাপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় চারজন এবং আগের মন্ত্রিসভায় চারজন সহ মোট আটজন নারী রয়েছেন মন্ত্রিসভায়। এর আগে বাংলাদেশে কোনো মন্ত্রিসভায় এত নারী সদস্য ছিলেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী। মন্ত্রিসভায় তিনি ছাড়াও নারী মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ডা. দীপু মনি। ১১ জানুয়ারি যে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল তাতে চার নারী সদস্যকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এই দুজন ছাড়াও ছিলেন রুমানা আলী এবং সিমিন হোসেন রিমি। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় যে নতুন সাত জনকে যুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে চারজনই নারী। যদিও পূর্ণমন্ত্রী পদে মাত্র দুইজন নারী রয়েছেন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ২০ বছর ধরে এই নারীর ক্ষমতায়নের এক নীরব বিপ্লব চলছে। শুধু মন্ত্রিসভা নয়, তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে হাইকোর্টে প্রথম নারী বিচারপতি নিয়োগ করেন। তার আগে জেলা প্রশাসক পদেও নারীদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনাই প্রথম সচিব পদে নারীদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করেন। এখন বেশ কয়েকজন সচিব নারী। এছাড়াও, শেখ হাসিনাই সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করেন। তিনি মাঠ পুলিশে নারীদেরকে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন।
তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যে নারীদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যোগ্যতা দিয়েই। তারা নারী এজন্য আলাদা কোনো ছাড় পাবেন না। বরং ভালো কাজ দিয়ে তাদের প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিতে হবে।