মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা বড় হতে পারে। যুক্ত হতে পারেন ৫-৭ জন সদস্য। ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল থেকে একজনকে স্থান দেওয়া হতে পারে।
টেকনোক্র্যাট কোটায় দুজনকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে । কে বা কাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তা নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। এক্ষেত্রে কয়েকজন নতুন সংসদ-সদস্যের নাম আলোচনায় আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা গঠন, সম্প্রসারণ বা রদবদল পুরোপুরিভাবে প্রধানমন্ত্রীর একক এখতিয়ার। কে কে মন্ত্রিসভায় আসবেন-এটি একান্তভাবেই প্রধানমন্ত্রী জানেন। সরকারের প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার আকার বাড়তেও পারে, আবার নাও বাড়তে পারে।
নবগঠিত ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় নতুন যুক্ত হয়েছেন ১৪ জন। এই তালিকায় স্থান পাননি বিদায়ি মন্ত্রিসভার ২৮ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। বাদ পড়েছেন ১৪ জন মন্ত্রী, ১২ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন নানা ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে নিয়ে নানা ধরনের অনিয়মের খবর মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেককে নিয়ে গণমাধ্যম ছিল সরব।
নতুনদের জায়গা দিতে একাধিক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বিদায়ি মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৪৮ সদস্যের।
নতুন ৬ বা ৭ জন যুক্ত হলে বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়াবে ৪৩ বা ৪৪ জনে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের পরিধি বেড়েছে। এছাড়া দেশের অর্থনীতির আকার বেশ বড়। সুতরাং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা বাড়লেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। বরং না বাড়ালে কাজের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে।
নতুন কারা আসছেন মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে জোর আলোচনা চলছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ১১ জানুয়ারি ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর থেকেই বোঝা গিয়েছিল এটা পূর্ণাঙ্গ নয়। একজন সিনিয়র মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংরক্ষিত আসনে নারী এমপিদের মনোনয়ন ও নির্বাচন চূড়ান্ত হবে। আরও কিছু দিন পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে।
মন্ত্রীদের দফতর বণ্টনের পর কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কর্মপরিধি বড় এমন মন্ত্রণালয়েও একজন করে দায়িত্বে আছেন। বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই। এ দুটি মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দায়িত্বে রেখেছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে একজন করে মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রিসভার আকার বড় হলে এসব মন্ত্রণালয়ে নতুন করে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে বিগত সরকার আমলে একজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করলেও এবার একজন প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।