The news is by your side.

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সহযোগিতা চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত

0 704

 

উপসাগরীয় অঞ্চলের উত্তেজনা (গালফ টেনশন) প্রমশন করে শান্তি ফেরাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবুল্লাহ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান চলতি অক্টোবরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক কূটনৈতিক পত্রে এই সহযোগিতা চেয়েছেন। কূটনৈতিক পত্রটি এই প্রতিবেদক এক নজর দেখার সুযোগ পেয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে এখন যুদ্ধের দামামা বইছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানী, ইরান, তুরস্ক, আমিরাত, ইসরাইল এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এরা একে অন্যের পদক্ষেপের ওপর খুব সতর্ক নজর রাখছে। এরই মধ্যে তুরস্ক সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সমাঝোতা হওয়াতে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার কুর্দিদের ওপর থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুর্দিরা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর কাছে সমর্থন চেয়েছে। তবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তুরস্কের হামলা প্রতিরোধের বিষয়ে কথা বললেও কুর্দিদের সমর্থন করার বিষয়ে কিছু জানায়নি।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ উপকূলে গত ১২ মে সৌদি আরবের দুইটি তেলবাহী টেঙ্কারসহ চারটি জাহাজের ওপর নাশকতামূলক হামলা চালানো হয়। এতে দুইটি তেলবাহী টেঙ্কারসহ চারটি জাহাজেরই ক্ষতি হয়। এই হামলার মাত্র দুইদিন পর সৌদি আরবের প্রধান একটি তেলের পাইপলাইনে হামলা চালানো হয়।

সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের একটি গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়। সবগুলো হামলাই ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা চালিয়েছে বলে স্বীকার করে নেয়। তবে সৌদি বা অন্য দেশগুলো সৌদির তেলের পাইপ লাইনে হামলার জন্য ইরানকে সন্দেহ করছে। ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সৌদি আরবে চালানো প্রায় সবগুলো হামলার বিরুদ্ধেই নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা।

মুসলিম বিশ্বের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা যখন টালমাতাল তখন উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ নয় শান্তি বলে উত্তেজনা প্রমশনে প্রতিদিনিই কথা বলছেন রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী রাষ্ট্রের কর্ণধাররা। একদিকে শান্তির কথা বললেও অন্যদিকে যে যার মতো অস্ত্র, সেনাসহ গোলাবারুদ মজুদ করছেন। এরই মধ্যে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় নিজেদের শক্তি বাড়াতে এই মুহুর্তে মিত্রদেশ ইসরাইল সফর করছেন আমিরাতের শীর্ষ প্রধান।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা প্রমশন করে শান্তি ফেরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেয়া উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে দেশটি। এই বিষয়ে সমর্থন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি কূটনৈতিক পত্রও দেয়া হয়েছে।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, আমিরাতের প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে দেখছে ঢাকা। এই বিষয়ে তাড়াহুড়া না করে সময় নিয়ে টেকসই সমাধানের পথে যেতে চায় ঢাকা। তবে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঢাকার চোখে সংলাপের বিকল্প কিছু নাই। ঢাকা চায় যে মুসলিম বিশ্বের একটি দেশ অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত না হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলুক।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.