The news is by your side.

মজলিস-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমিনের সঙ্গে হাত মেলাবে ইমরানের দল

0 94

 

পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য মজলিস-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) সঙ্গে জোট করার ঘোষণা দিয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের নির্দেশে কেন্দ্র এবং পাঞ্জাব প্রদেশে দলটির সঙ্গে জোট গড়ার কথা জানিয়েছেন পিটিআই মুখপাত্র রউফ হাসান।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, খাইবার পাখতুনখাওয়াতে সংরক্ষিত আসনের জন্য আমরা জামায়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে জোট করবো। ইমরান খান এ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, যারা নির্বাচনে জিতেছে সরকার গঠন করার অধিকার তাদেরই আছে।

রউফ হাসান আরও বলেন, সরকার গঠনে পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট–পাকিস্তানের (এমকিউএম–পি) সঙ্গে জোট করতে বারণ করেছেন পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।

তিনি বলেন, খাইবার পাখতুনখাওয়াতে সংরক্ষিত আসনের জন্য আমরা জামায়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে জোট করবো। ইমরান খান এ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, যারা নির্বাচনে জিতেছে সরকার গঠন করার অধিকার তাদেরই আছে।

জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে মজলিস-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমিন (এমডব্লিউএম)।

এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট গঠনের কথা বলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ভোট হওয়া ২৬৫ আসনের মধ্যে ইমরান–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯২ আসন। এরপরই পিএমএল–এন ও পিপিপি পেয়েছে যথাক্রমে ৭৫ ও ৫৪ আসন। কোনো দলই জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গড়তে জোট গঠনই এখন একমাত্র পথ।

নির্বাচনে কোনো দল প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে সরকার গঠনের জন্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা। এর মাঝেই পিএমএল-এন এবং পিপিপির তাদের সংসদীয় অবস্থান শক্তিশালী করতে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলে ভেড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

এদিকে পিটিআই যে দলের সঙ্গে জোট গড়ার ঘোষণা দিয়েছে সেই এমডব্লিউএম মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে জাতীয় পরিষদে। আর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে জয় পেয়েছে পিটিআই সমর্থিত ১১৬ প্রার্থী । নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের একটি দলে যোগ দিতে হবে। যদি কোনো দলে যোগ দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে সংরক্ষিত আসনের বরাদ্দ পাবে না তারা।

পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে ২৯ ফেব্রুয়ারি অথবা নির্বাচনের দিন থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সরকার গঠন করতে হবে। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন আছে, যার মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

এ ছাড়া জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত আসন আছে ৭০টি। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত। রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান অনুযায়ী এসব আসন বণ্টন করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.