ভোলার ইলিশা-১-এ কূপ খনন করে প্রাথমিকভাবে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। সেখানে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কম্পানি গ্যাজপ্রম এ কূপ খননকাজে নিয়োজিত রয়েছে। তবে সেখানে কী পরিমাণ গ্যাসের মজুদ রয়েছে তা জানা না গেলেও বাপেক্স ধারণা করছে, এই কূপে ১৮০ থেকে ২০০ বিসিএফের মতো গ্যাসের মজুদ রয়েছে।
শুক্রবার সকালে ডিএসটি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানটি। মাটির প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটার নিচে এই গ্যাসের সন্ধান মেলে।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। তবে এই মুহূর্তে পরীক্ষা চলছে। এ ছাড়া আনুষঙ্গিক আরো অনেক কাজ রয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে গ্যাসের মজুদ, দৈনিক উত্তোলন এবং ফ্লোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।’
ডিএসটি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে শুরুতে ১০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাসের ফ্লো চলছে। এটি পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সব কিছু জানা যাবে বলে জানায় বাপেক্স।
গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ নামের এ কূপের খননকাজ শুরু হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। ভোলার শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামের আলাদা দুটি গ্যাসক্ষেত্রে ৯টি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ টিসিএফ ঘনফুট।
বাপেক্স ভূতাত্ত্বিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন সংবাদমাধ্যকে নিশ্চিত করে বলেন, এখন টেস্টিং চলছে। মাটির তিন হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান মেলে। যা প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।