স্থানীয় সরকার পরিষদের অন্যতম শক্তিশালী স্তর পৌরসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৬০টিতে ভোট হচ্ছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
২৯টিতে ইভিএম এবং ৩১টিতে কাগজের ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপসহ নানা ঘটনায় ওইসব এলাকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভোটের সময় সংঘর্ষের বিষয় মাথায় রেখেই বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে নির্দিষ্ট এলাকায়। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বসুরহাট পৌরসভার সবকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে ২৩ পৌরসভার ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপে সংঘাত-সহিংসতা বেড়েছে। এ ধাপে ১৭টি পৌরসভার মোট ১৪৪টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলোতে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচন ঘিরে কোনো রক্তপাত এড়াতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংঘাত রোধে কঠোর হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব জেলার পুলিশ সুপার, ডিআইজি ও মেট্রোপলিটনে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের। আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে যাদের নৈরাজ্যে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।