বিশ্ববাজারে বর্তমানে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। সেজন্য অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী তিন মাসের জন্য ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে ‘ভোজ্যতেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সভায় এফবিসিসিআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা, ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
তেল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে জসিম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেলের সরকার নির্ধারিত মূল্য সবাইকে প্রতিপালন করতে হবে। অযৌক্তেকভাবে কেউ দাম বাড়াবেন না। মজুদ করবেন না। কেউ অসাধু উপায় নিলে এফবিসিসিআই তাদের পক্ষে নেই। প্যাকেটজাত তেলের চেয়ে বাজারে খোলা তেলে দাম বাড়বে- এটা মানা যায় না। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে- এই অজুহাতে অনেকেই তেল মজুদ করছেন। কেউ কেউ বোতলের তেল খোলা হিসেবে বিক্রি করছে। কিন্তু বিশ্ববাজারের যে দাম বাড়ছে সে তেল দেশে আসবে দুই-তিন মাস পরে। তাহলে এখনই দাম কেনো বাড়বে।
মতবিনিময় সভায় বাজার নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং সেল গঠনের ঘোষণা দেন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। একই সাথে বাজার কমিটিগুলোকে তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার প্রতি জোর দেন তিনি।
সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মিলমালিকদের পক্ষ থেকে বাজারে সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই। প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন তেল সিটি গ্রুপের কারখানা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কোরবানি পর্যন্ত ভোজ্যতেলেরর ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান করেন তিনি।
এস.আলম গ্রুপের সিনিয়র মহা-ব্যবস্থাপক কাজী সালাহউদ্দিন আহাম্মদও এনবিআরকে ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
একই দাবি জানিয়ে টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল তাছলিম জানান, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে সরকার ২৫ থেকে ২৭ টাকার রাজস্ব পায়। বর্তমান সময়ে এই রাজস্বছাড় দিলে রমজান পর্যন্ত তেলের বাজারে কোন সংকট থাকবে না।
পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ গোলাম মাওলা মিল মালিকদের প্রতি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান করেন। তিনি জানান, মিলগেটে অপেক্ষার জন্য একেকটি ট্রাক বাবদ দৈনিক ৫ হাজার টাকা ড্যামারেজ দিতে হয়।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রতি ১৫ দিনে একবার তেলের দাম নির্ধারণের পরামর্শ দেন।