শুরুটা বছর চারেক আগে, বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে। এরপর দেশের দুই সংগীত তারকা হাবিব ওয়াহিদ ও তাহসান খানের মিউজিক ভিডিওতে হাজির হয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দেন। কিন্তু আলোচনার টেবিলে উঠে আসতে চার বছর চেষ্টা, অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। গেলো মার্চে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম ‘ফ্রাইডে’ দিয়ে সেই চেষ্টার প্রাথমিক সার্থকতা পান।
বলা হচ্ছে, তরুণ অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা নীলের কথা। ‘বিউটি উইথ ব্রেইন’ কথাটি তার সঙ্গে দারুণভাবে মানায়। কেননা স্থাপত্যে স্নাতক সেরে স্থপতি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি। আবার পর্দার সামনে রূপের আবেদনের সঙ্গে সাবলীল অভিনয়েও ছড়াচ্ছেন মুগ্ধতা।
রায়হান রাফী নির্মিত ‘ফ্রাইডে’র পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলকে নিয়ে চর্চা ছিল উল্লেখযোগ্য। আঁচ করা যাচ্ছিল, নতুন কাজের মিছিল আসবে তার দিকে। অনেকটা তেমন ঘটেছেও বটে। কিন্তু সেই মিছিলে সামিল হচ্ছেন না নীলাঞ্জনা। কারণ হিসেবে বললেন, ‘তাড়াহুড়ো নেই। সময় নিয়ে, ভেবে-চিন্তে ভালো কাজটাই করতে চাই। কাজের প্রস্তাব আসছে বলেই করে ফেলতে হবে, এমনটা আমি বিশ্বাস করি না।’
ইতোমধ্যে নতুন একটি ওয়েব সিরিজের কাজ সম্পন্ন করেছেন। নাম ‘মিশন হান্টডাউন’। সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ নির্মিত সিরিজটি মুক্তি পাবে ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম হইচইতে। এতে তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম, এফ এস নাঈমদের সঙ্গে।
নীলাঞ্জনা নীল বললেন, “মিশন হান্টডাউন’র শুটিং শেষ হয়ে গেছে। যতদূর জানি এখন পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে। সিরিজে আমার ক্যারেক্টার নিয়ে আগে থেকে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে সিরিজটা থ্রিলার ধাঁচের। আমাকে দর্শক বেশ ভালো একটি অংশেই পাবেন। এর বাইরে কিছু নাটকে কাজের কথা চলছে। ব্যাটে-বলে মিললে ঈদে আসতে পারে।”
‘ফ্রাইডে’ চর্চার রেশ ধরে সিনেমার প্রস্তাবও এসেছে নীলাঞ্জনার দরজায়। সে প্রসঙ্গে এ সুদর্শনার মন্তব্য, ‘আসলে সিনেমা নিয়ে এখনও ভাবিনি। অনেক অফার এসেছে, বিনয়ের সঙ্গে সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ আমি এখনই বাণিজ্যিক-মাসালা সিনেমায় কাজ করতে চাচ্ছি না। একটু ভালো গল্পের দিকে নজর দিচ্ছি। তাই অপেক্ষা করতে আমার আপত্তি নেই। পুরো গল্পজুড়ে আমি থাকবো, আমাকে অনেকটা সময় স্ক্রিনে দেখা যাবে, এমনটা বলছি না। চরিত্রটা ভালো হলে, অভিনয়ের জায়গা থাকলে, সে কাজটা করতে চাই।’