যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠবে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি কোনো পক্ষই। তবে এরই মধ্যে ওই বৈঠকের আগে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে কথা বলার সুযোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে কথা বলবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসার কথা।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন প্রেস সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল জন কিরবি।
ব্রিফিংয়ে জন কিরবির কাছে একজন সাংবাদিক জানতে চান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে আঞ্চলিক গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে কি না? এ সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ভিসা-নীতি ঘোষণা করেছে। আপনি কি মনে করেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সঙ্গে থাকবে?
জবাবে জন কিরবি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বের যেখানেই যান না কেন, যে নেতার সঙ্গেই কথা বলেন না কেন, তিনি সাধারণত মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে থাকেন। বর্তমান প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক উপাদান মানবাধিকার। আশা করা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও আলাপকালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়টি তুলবেন, যেমনটা তিনি সব সময় করেন।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জন কিরবি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে ভারত সরকারকে কথা বলতে দেওয়া উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার আকাঙ্ক্ষার কথা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করেছে। যারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ দিতে ভিসা-নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাই আমি শুধু আমাদের অবস্থানের কথা বলতে পারি। তবে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ভারত সরকারকে কথা বলতে দেওয়া উচিত।