একসময় স্বাধীনতা দিবসে যেন হাঁফ ছাড়ার সময় থাকত না তাঁর। একের পর এক নানা জায়গায় একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হত। আর যোগ দিতে হবে না-ই বা কেন? পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন বলে কথা। তবে এবারে ভারতের স্বাধীনতা দিবস একেবারে অন্যরকম। কারণ, নাকতলার বাড়ি ছেড়ে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলই ঠিকানা তাঁর। আজ আর কোনও ব্যস্ততা নয়। পরিবর্তে জেলে নিঃসঙ্গ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। একা সেলেই সময় কাটালেন তিনি।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সোমবার প্রেসিডেন্সি জেলেও পতাকা উত্তোলন করা হয়। তবে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাননি পার্থ। পরিবর্তে একাই সেলে ছিলেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যপরীক্ষায় আসে মেডিক্যাল টিম। সেই সময় হুইলচেয়ারে বসে যাতায়াতের পথে ঋষি অরবিন্দের সেলের সামনে মাথানত করে কিছুক্ষণ দাঁড়ান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হাতজোড় করে প্রণাম করেন। ওই সেলটিতে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর ইচ্ছাপ্রকাশও করেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর আরজিতে সাড়া দেন। স্বাধীনতা দিবসে ওই সেলে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয় তাঁকে। তা সত্ত্বেও সোমবার জেলের সেল থেকে বেরতে চাননি পার্থ। তাই আর ঋষি অরবিন্দর সেলেও যাওয়া হয়নি তাঁর।
জুলাই মাসের শেষের দিকে ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেলেই রয়েছেন তিনি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। পার্থ দাবি করেছেন, ওই টাকা তাঁর নয়। এদিকে, অর্পিতা জানিয়েছেন ওই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁকে মিনি ব্যাংক হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন বলেই দাবি। ওই বিপুল টাকার মালিক কে, তা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১৮ আগস্ট ফের আদালতে পেশ করা হবে পার্থ ও অর্পিতাকে। জামিন নাকি ফের জেল হেফাজত হয় তাঁদের, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।