ভারতের লোকসভায় গত সপ্তাহে ব্যাপক নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়। ওই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে প্রতিবাদ করায় ৩০ বিরোধী সাংসদকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। গত সপ্তাহেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করায় ১৩ বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। খবর এনডিটিভির।
এ ছাড়াও বিশেষাধিকার কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত আরও তিন সংসদ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৪৬ সাংসদকে বরখাস্ত করা হলো, তাদের মধ্যে ৪৩ জন নিরাপত্তা লঙ্ঘন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করায় বরখাস্ত হয়েছেন।
বরখাস্ত সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং বিধানসভায় দলের উপনেতা গৌরব গগৈ। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, শতাব্দী রায় এবং ডিএমকে সদস্য এ রাজা ও দয়ানিধি মারানও এ তালিকায় রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রঞ্জন চৌধুরী বলেন, সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে এবং সংসদকে বিজেপির সদর দফতর হিসেবে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। এ সরকার একনায়কতন্ত্রের চূড়ায় পৌঁছেছে। তারা ক্ষমতার লাঠি বহন করছে। তারা সংসদকে দলীয় কার্যালয়ের মতো চালাতে চায়। কিন্তু তা হতে পারে না।
গগৈ বলেন, বিজেপি সরকার বিরোধীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। তিনি দাবি করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাপক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের দায় নিতে ভয় পাচ্ছেন। লোকসভার বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।