পরকীয়া, পরকীয়ার জেরে বিচ্ছেদ, এমনকী প্রাণহানি। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে সম্পর্কে জটিলতা। জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গড়ে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শয্যাসঙ্গীর সংখ্যা বেশি।
মোট ১ লক্ষ পুরুষ এবং ১ লক্ষ ১০ হাজার মহিলার উপর সমীক্ষা করা হয়। ওই সমীক্ষার রিপোর্টেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সঙ্গী অনেক বেশি। রাজস্থান, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, মধ্যপ্রদেশ, অসম, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, পণ্ডিচেরি ও তামিলনাড়ুতে গড়ে শয্যাসঙ্গীর নিরিখে পুরুষদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা। সবচেয়ে এগিয়ে রাজস্থানের মহিলারা। ওই রাজ্যের মহিলাদের শয্যাসঙ্গী প্রায় ৩.১ জন, পুরুষদের সঙ্গী সংখ্যা ১.৮ জন।
স্ত্রী কিংবা লিভ ইন সঙ্গী ছাড়া অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার প্রবণতা বেশি পুরুষদের। সেক্ষেত্রে বেশ কিছুটা পিছিয়ে মহিলারা। সমীক্ষার ১২ মাস আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ শতাংশ পুরুষ এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। স্থায়ী সঙ্গীর বাইরে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো নারীর সংখ্যা ০.৫ শতাংশ।
যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে কর্মব্যস্ততা। ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত পেশাগত দায়দায়িত্ব সামলাতেই কেটে যাচ্ছে বেশিরভাগ সময়। আর প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে সফল হতে গিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সময়ও কমেছে বেশ খানিকটা। তার ফলে ক্রমশই প্রিয়জনের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। তুচ্ছ কারণেও দিনভর ঝগড়াঝাটি, অশান্তি চলছে। সম্পর্ক হারাচ্ছে উষ্ণতা। আর শীতল সম্পর্কের মাঝে জায়গা করে নিচ্ছে তৃতীয় ব্যক্তি। বাড়ছে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা।