ভারতের সঙ্গে কানাডা লড়াই করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ।
ভারত থেকে কানাডিয়ান কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনটাই জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে নয়াদিল্লির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় কানাডা। তারা ভিয়েনা কনভেনশনের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ভারতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত কয়েক দিনে ৪০ জন কানাডিয়ান কূটনীতিক নয়াদিল্লির অনুরোধে ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বড় বড় দেশগুলি যদি এ ভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙতে শুরু করে, তবে এই পৃথিবী সকলের জন্য আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে।’’
হরদীপ সিংহ নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কানাডা। সেই অবস্থানে তারা এখনও অনড়। ট্রুডো বলেন, ‘‘প্রথম থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, কানাডার মাটিতে কানাডার এক নাগরিককে হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িয়ে আছেন। সে বিষয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলি এবং শেষ পর্যন্ত দেখতে বলি। আমেরিকা-সহ আমাদের মিত্র দেশগুলিকে এ বিষয়ে আমরা অবগত করেছি।’’
ট্রুডো আরও বলেন, ‘‘ভারতকে ভিয়েনা কনভেনশনের শর্তগুলি লঙ্ঘন করতে দেখে আমরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছি। ওরা আমাদের ৪০ জন কূটনীতিককে দেশ থেকে বার করে দিয়েছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে গোটা বিষয়টি ভেবে দেখুন। ভারতীয় এজেন্টরা যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সে বিষয়ে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। সেটা আমরা ভারতকে জানালাম, আর তার উত্তরে ভারত আমাদের কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে দিল। এটা গোটা বিশ্বের কাছেই উদ্বেগের কারণ।’’
কানাডা বরাবর ভারতের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করেছেন বলে জানান ট্রুডো। আগামী দিনেও ভারত সম্পর্কে তাদের অবস্থান আগের মতোই থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভারতের সঙ্গে লড়তে চাই না। কিন্তু আমরা সবসময়েই আইনের পথে চলব, আইনের পক্ষে কথা বলব।’’
নিজ্জর হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত আছেন, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি। পরিবর্তে ভারতের পাল্টা অভিযোগ, ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসবাদীরা কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানকার নাগরিকত্ব পেয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কানাডাকে দুষেছে নয়াদিল্লি। ঘটনার পর কানাডার ভিসাও বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। পরে অবশ্য তা আংশিক ভাবে আবার চালু করা হয়েছে।