ভারতের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব নিয়ে মুখ খুললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির পুতিন। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও করেছেন তিনি। কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী সোচি শহরে একটি অনুষ্ঠানে পশ্চিম ইউরোপ এবং আমেরিকার প্রতি সরাসরি এ বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন পুতিন। জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্বে চিড় ধরানোর যে চেষ্টা পশ্চিমি বিশ্ব করে আসছে, তা অর্থহীন।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার দু’দেশে শান্তি ফেরানোর কথা বললেও সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও বিরূপ মন্তব্য করেননি। এমনকি, মস্কোর থেকে তেল আমদানিও বন্ধ করেনি নয়াদিল্লি। উল্টো দিকে, আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ তো করেইছে, সেই সঙ্গে মস্কোর উপরে চাপানো হয়েছে বহু নিষেধাজ্ঞা। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে পুতিন বলেছেন, পশ্চিম আসলে তাদের সকলের সঙ্গেই শত্রুতা করতে চায়, যারা তাদের একাধিপত্য মেনে নেয় না। সকলেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমনকি, ভারতও, কিন্তু ওদের নেতৃত্ব নিজেদের দেশের মানুষের স্বার্থে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চায়।
এই প্রসঙ্গেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন পুতিন। বলেছেন, বর্তমান ভারতের জনসংখ্যা দেড়শো কোটিরও বেশি। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ওই দেশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’’
শুধু ভারত সম্পর্কেই নয়, পরমাণু যুদ্ধ নিয়েও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি এবং আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন পুতিন। তিনি গত কালই জানিয়েছেন, খুব সম্প্রতি রাশিয়া একটি স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। তাঁর বক্তব্য, বহু বহু হাজার মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম সেই ক্ষেপণাস্ত্র। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি পুতিন। ১৯৯০ সালে পরে সেই ভাবে আর কখনও পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করেনি রাশিয়া। কিন্তু তাদের উপরে কেউ আঘাত হানলে মস্কো তাদের ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই অদূর ভবিষ্যতে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন পুতিন।