এই ভারত অজেয়, টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে। ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না কোনো দল। খেলাও আবার ঘরের মাঠে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শকের সামনে ভারতই ফেবারিট, ম্যাচ শুরুর আগে ছিল এই আলোচনা।
তবে প্যাট কামিন্স তাই বলেছিলেন, ‘ভরা গ্যালারি স্তব্ধ করার মতো আনন্দ আর নেই।’ সেটা শুধু কথায় না, করে দেখালেন কামিন্সরা। নীল জার্সিতে ছেয়ে যাওয়া গ্যালারিকে ঢেউহীন, গতিহীন, স্তব্ধ নীল জলের ‘প্রশান্ত সাগর’ বানিয়ে ছেড়েছে তারা। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় জয়ে লিখেছে আহমেদাবাদ ট্রাজেডি। ষষ্ঠ শিরোপা তথা সম্পন্ন করেছে ‘মিশন হেক্সা’।
রোববার (১৯ নভেম্বর) আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। দলের পক্ষে বিরাট কোহলি ৬৩ বলে ৫৪ ও লোকেশ রাহুল ১০৭ বলে ৬৬ রান করেন।
২৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৬ রানে ৩ বলে ৭ রান করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার।
এরপর ক্রিজে আসা মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ট্রেভিস হেড। তবে দলীয় ৪৭ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
মার্শ ১৫ বলে ১৫ ও স্টিভেন স্মিথ ৯ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ক্রিজে আসা মার্নাস লেবুশানেকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হেড।
দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি ফিফটি পূরণ করেন হেড। ফিফটির পর আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন লেবুশানে।
মারমুখি ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করেন হেড। এরপর ফিফটি পূরণ করেন লেবুশানে। ভারতীয় বোলারদের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে দলকে জয়ের পথ রাখেন এই দুই ব্যাটার।
তবে জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে ১২০ বলে ১৩৭ রান করে আউট হন হেড। এরপর ক্রিজে আসা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ বলে হাতে রেখে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। সেইসঙ্গে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে অজিরা।