ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছোট বোন শাযরেহ হক। মামলায় আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম। তার অভিযোগ, ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে আজ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ট্রান্সকম গ্রুপের বিষয়ে আমরা শুনেছি। আগেও একটা মামলা হয়েছে। গত রাতে আরেকটি মামলা হয়। মামলাটি এখনো থানায়। ডিবির কাছে আসলে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করব। মালিকের বড় মেয়ের নামেও মামলা হয়েছে।
সিমিন রহমান ছাড়া এ মামলার আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন তার ছেলে ও ট্রান্সকম লিমিটেডের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারাইফ আয়াত হোসেন, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের (আইন) নির্বাহী পরিচালক ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইনান্সের পরিচালক কামরুল হাসান, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার সেলিনা সুলতানা, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার কেএইচ শাহাদত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজার (মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স) ডা. মুরাদ, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. মুজাহিদুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন, রফিক ও মিরাজুল।
এর আগে, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক গত ২২ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় বড় বোন, মা এবং ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিথ্যা হিসাব দেখিয়ে সিমিন ও তার সহযোগীরা তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন।
শাযরেহ অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে তার বাবা একাধিক ব্যাংকের এফডিআর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে গেছেন। তার মা শাহনাজ রহমান ও বোন সিমিন রহমান অসমভাবে সেই এফডিআর বিতরণ করেন।