সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আসন্ন বড়দিনের আগেই পাওয়া যেতে পারে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজারের করোনার ভ্যাকসিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর সাহিন বলেন, সব কিছু ঠিকভাবে হলে আশা করছি যে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনুমোদন পাবো এবং বড়দিনের আগেই ভ্যাকসিনটি বিতরণ শুরু করতে পারবো।
করোনাভাইরাসের টিকার অগ্রগতি বিষয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার জানায়, তাদের টিকা করোনাভাইরাস থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। তবে ওই সময়ে তারা জানায়, তারা এফডিএর কাছে অনুমোদন চাওয়ার আগে যথেষ্ট সুরক্ষা তথ্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটির চলমান তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল থেকে প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই ভ্যাকসিনটি সব বয়সী মানুষের কিংবা বর্ণ বা নৃগোষ্ঠীর লোকদের মধ্যেও সমানভাবে ভালো কাজ করে।
ফাইজার ও এর জার্মান পার্টনার বায়োএনটেক বলছে, তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রে জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের আবেদন করবে।
ফাইজারের এ তথ্যে এসেছে সারাবিশ্বের প্রায় ৪১ হাজার মানুষকে দেওয়া দুটি ডোজের ভিত্তিতে। যখন চলতি সপ্তাহে আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান মডার্না দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।
ফাইজার এবং বায়োএনটেকের একটি তথ্যে বলা হয়েছে, ১৭০ জন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে টিকা প্রয়োগ করার ভিত্তিতে এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বোরলা। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হয়েছে।
আমাদের সুরক্ষা মাইলফলক ইতিমধ্যে অর্জন করা হয়েছে। আমরা এখন টিকা অনুমোদন চাওয়ার জন্য তা জমা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি সিএনএনকে এ সপ্তাহে বলেছেন, আমেরিকার নাগরিকেরা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে টিকা পেতে শুরু করবেন।
এফডিএর টিকা অনুমোদন বিষয়ে পরিচিত একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, এফডিএর কর্মকর্তারা ভ্যাকসিনস অ্যান্ড রিলেটেড বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাডভাইজরি কমিটির সঙ্গে ডিসেম্বর মাসের ৮, ৯ ও ১০ তারিখে বৈঠক করবেন। ওই পরামর্শক কমিটি মূলত এফডিএর বাইরের বিশেষজ্ঞ দল। সংস্থাটি ১০ ডিসেম্বর বৈঠকের শেষে টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত জানাতে পারে।