যাপিত জীবনে কাওকে পরোয়া করেন না স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে বাঁচেন তিনি। তই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবর অকপটেও। সাজ-পোশাক সবসময়ই থাকে চর্চায়। যে কোন পোশাকে আত্মবিশ্বাসী তিনি, প্রয়োজনে এক টুকরো তোয়ালেতেও!
চল্লিশোর্ধ এ নায়িকা নো-মেকআপ লুকে ছবি দিতেও ভয় পান না। নিজের বয়স লুকিয়ে রাখা তাঁর স্বভাব-বিরুদ্ধ। তবে শরীরের নানা অঙ্গ নিয়ে বারবার কদর্য আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তার হাতকাটা ব্লাউজ, চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল— কোনো কিছুই ছাড় পায়নি কিছুই ট্রল থেকে।
সম্প্রতি এক বই লঞ্চের অনুষ্ঠানে কালো রঙের স্লিভলেস পরে হাজির হন স্বস্তিকা। সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘আমার হাত মোটা তাতে কি? হাতকাটা বেলাউজ পরতে ইচ্ছে করলে পরব! আর এটা বেলাউজ না, মেয়ের টপ। আমরা মেয়েরা বড্ড ভয় পাই, লোকে কি বলবে। হাত আমাদের, ইচ্ছে আমাদের, বেলাউজের মাপ আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে।’
স্বস্তিকার এই ভাবনার সঙ্গে নেটিজেনদের অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। মাধুরী বালা লিখেছেন, ‘এমন করে কজন ভাবতে পারে? তোমার ভাবনা তোমার স্টাইল খুব ভালো লাগে।’ শতাব্দী ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখি আর মুগ্ধ হই।’ অধরা ইসলাম লিখেছেন, ‘তুমি সবকিছুতেই অনন্য।’ পুতুল সাহা লিখেছেন, ‘এই ভাবনাই তোমাকে সবার থেকে আলাদা করেছে। আর তাই তুমি আমার এত প্রিয়।’
এর আগে ট্রলিং নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে স্বস্তিকা বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এত পরিবর্তনের মাঝে আমরা আশা করেছিলাম মানুষের ধ্যান ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। হ্যাঁ, অবশ্যই হয়েছে তবে তা শুধুই নিম্নগামী বা নরকের পথে পরিবর্তন। আজ শুধু আমি কেন, যেকোনো মেয়ে যদি পুরুষের মতো মদের দোকানে যায়, শর্টস পরে, সিগারেট খায় সাথে সাথে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু চুপ করে থাকার তো কোনো মানে নেই, প্রতিবাদ করতে হবে। না করলে সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকারও মানে নেই।’
১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দে এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে। দুধের শিশু কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেন এই নায়িকা; মেয়েই এখন স্বস্তিকার বেস্ট ফ্রেন্ড।