ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ঘোষণা করেছেন, তিনি আগামী ৭ই জুন পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ।
ব্রেক্সিট অর্থাৎ ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের ব্যাপারে তার নতুন পরিকল্পনা তার মন্ত্রীসভায় ও পার্লামেন্টে অনুমোদিত হবে না এটা স্পষ্ট হবার পরই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা এলো।
কিছুক্ষণ আগে লন্ডনে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে এক আবেগপূর্ণ বিবৃতিতে মিসেস মে তার বিদায়ের কথা ঘোষণা করেন। সংক্ষিপ্ত বিবৃতির শেষে তার গলা ভেঙেআসে, চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
তবে কনজারভেটিভ পার্টি একজন নতুন নেতা নির্বাচিত না করা পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
ব্রিটেনের বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন।
যেদিন তিনি বিদায় নেবেন সেদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দু’বছর ৩২৭ দিন পুরো হবে।
মিসেস মে বলেছেন, তিনি আশা করেন তার উত্তরসূরী যিনি হবেন তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে পারবেন, যার পক্ষে ২০১৬ সালের গণভোটে ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
ব্রেক্সিট কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে মিসেস মে’র পরিকল্পনাটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের অনুমোদন পেয়েছিল, কিন্তু ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এটি পর পর তিন বার তুলেও তা পাস করাতে ব্যর্থ হন মিসেস মে।
এর পর তিনি বিরোধীদল লেবার পার্টির সাথে আলোচনা করে আরেকটি সংশোধিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, কিন্তু এর যে তীব্র বিরূপ সমালোচনা হয় তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টি ও পার্লামেন্ট – কোথাও এটা পাস করানো যাবে না।
এর পরই মিসেস মে’কে অবিলম্বে পদত্যাগের জন্য পার্টি চাপ দিতে থাকে।
অবশেষে আজ শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মিসেস মে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন।