ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শীতল মিয়া (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা একাধিক বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার সকালে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর ধরাভাঙ্গা রোডে শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকআপ থেকে জিপি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে মুক্তারামপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে ধরাভাঙ্গা গ্রামের সলিমগঞ্জ বাজারের লাইন ম্যান রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে ধরাভাঙ্গা গ্রামের চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক ও খোকনকে মারধর করে। মারধরের খবর ধরাভাঙ্গা গ্রামের ছড়িয়ে পড়লে ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন চেয়ারম্যানের ছেলে মানিক মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়।
এ সময় মুক্তারামপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত কানু মিয়ার ছেলে শীতল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা মুক্তারামপুর গ্রামের ছয়টি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর জেরে সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা মালিক মিয়া, দুলাল মিয়া মেহেদী হাসান, আমির মিয়া, সুমন, রয়েল মিয়া, মোহাম্মদ আলীসহ দুই গ্রামের ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।