ব্রাজিলের ডানপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকেরা দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্টে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা যেভাবে ক্যাপিটলে হামলা ও তাণ্ডব চালিয়েছিল, ব্রাজিলে বলসোনারো সমর্থকদের এই তাণ্ডব অনেকটা তেমনই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় বলসোনারোর উগ্র সমর্থকেরা দেশটির জাতীয় রংয়ের পোশাক পরে ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে পুলিশি বাধা অমান্য করে দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলসোনারোর সমর্থকরা কংগ্রেস ভবন ও সুপ্রিম কোর্টের জানালা ও চেয়ার ভেঙে তছনছ করছে। তারা কংগ্রেস ভবনের ছাদে উঠেছে।
গ্লোবো টিভি চ্যানেলের ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেও বিচরণ করছে। অনেকে সবুজ ও হলুদ রঙের কাপড় পড়েছে। এটি বলসোনারো সরকারের প্রতীক।
বিক্ষোভকারীদের হটাতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এই তাণ্ডবে অন্তত ৩ হাজার ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা দেশটির ফেডারেল বাহিনীকে রাজধানীর নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছেন।
সিএনএন বলছে, পুলিশ ইতোমধ্যে সরকারি ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের হটানো শুরু করেছে। অন্তত ৪০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বলসোনারোকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হওয়া লুলা ডা সিলভা এই হামলার উসকানিদাতা হিসেবে বলসোনারোকেই দায়ী করেছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শপথ নেন লুলা। তিনি দাবি করেছেন, সর্বশেষ নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নতুন করে নির্বাচন দাবি করার জন্য বলসোনারো তার সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করেছেন।
এদিকে, গত ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেনি বলসোনারো। লুলার শপথ গ্রহণের আগেই তিনি ব্রাজিল ত্যাগ করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন ব্রাজিলের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।