The news is by your side.

ব্যাংক খাতে বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ

0 177

সমানতালে বাড়ছে প্রভিশন ঘাটতি বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি। এবারও প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে দেশের আট ব্যাংক। চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ  তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে আট ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। মার্চ শেষে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। ঘাটতিতে পড়া ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে তিনটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক। গত জুন শেষে সরকারি তিনটি ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। কিছু ব্যাংক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রাখায় এসব ব্যাংকের সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকায়।

অন্যদিকে বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৬১ কোটি টাকায়। এসব ব্যাংকের সার্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ছিল অগ্রণী ব্যাংকের। গত জুন শেষে এ ব্যাংকের সঞ্চিতির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকায়। এরপর বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার ৩১১ কোটি এবং রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ঘাটতি।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। জুন শেষে ব্যাংকটির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকায়। এছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ৫১৬ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ৪৩৯ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংকের ৪১৯ কোটি টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২০৪ কোটি টাকা। ব্যাংককে আর্থিকভাবে ঝুঁকি থেকে এড়াতে নিরাপত্তা সঞ্চিতির বিধান রাখা হয়েছে। ঋণের মান অনুযায়ী খেলাপি ঋণের বিপরীতে নিয়মিত ঋণের বিপরীতে শূন্য দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্ন বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.