বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বাজারের চাহিদা সরবরাহের ভিত্তিতে ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারিত হবে। তবে ব্যাংক ঋণ ও আমানতের সুদহারে যে সীমা আরোপ করা আছে, তা আপাতত তোলার কথা ভাবছে না সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাকিদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন ।
মুস্তফা কামাল বলেন, বিনিময় হার নির্ভর করবে বাজারের চাহিদা সরবরাহের ওপর। অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির দেশে যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা হয়, বাংলাদেশেও একইভাবে হবে। তবে ব্যাংক ঋণ ও আমানতের সুদহারে যে সীমা আরোপ করা আছে, সেটা আপাতত তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। কারণ বাংলাদেশে সুদহারের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন। এজন্য সরকার আর্থিক ও মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ঋণ ও আমানতের সুদহারে যে সীমা আরোপ করা আছে, তা চলতে থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমার আশঙ্কা আমি করছি না। কারণ সম্প্রতি রপ্তানি আয় বাড়ছে। কমছে আমদানি ব্যয়। অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ২০০ কোটি ডলার করে আসছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমার পরিবর্তে আগামীতে বাড়বে। শিগগিরই আগের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারে যেতে পারে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির আলোচনা চলছে। আলোচনা চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশি টাকা ও রাশিয়ান মুদ্রা রুবল সোয়াপ করে আমদানি করা জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধের চেষ্টা করা হবে।