করোনাভাইরাসের প্রভাবে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। আর এই সুযোগে পণ্যগুলো বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ওষুধ ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করার অভিযোগে লাজফার্মা নামের একটি ওষুধ ফার্মেসিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের থানা রোড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।
মঙ্গলবার দুপুরে ক্রেতা সেজে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাস্ক কিনতে গেলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বাড়তি চাহিদার কথা বলে দুই টাকা মূল্যের মাস্ক ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এসময় রশিদ চাইলেও তা দিতে অপারগতা জানান ফার্মেসি কর্মকর্তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে আসা পুলিশ গিয়ে হাতে-নাতে আটক করে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান ও বিক্রয়কর্মী পাপন দেবনাথকে।
এছাড়াও প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে সময় ক্ষেপণের অভিযোগে আটক করা হয় লাজ ফার্মা লিমিটেডের ম্যানেজিং পার্টনার আলমগীর হোসেন মাখনকে। পরে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, তিনি নিজ অফিসের এক কর্মচারীকে দিয়ে থানা রোড এলাকায় লাজফার্মা নামের একটি ওষুধ ফার্মেসিতে মাস্ক কেনার জন্য পাঠান। পরে ওই কর্মচারী ফার্মেসি থেকে চল্লিশ টাকা দিয়ে একটি মাস্ক কেনেন। করোনাভাইরাসের দোহাই দিয়ে পাঁচ টাকার মাস্ক চল্লিশ টাকা বিক্রির অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে ওই ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় ওই ফার্মেসি কর্তৃপক্ষকে নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ওই ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ জনগণের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন পণ্য বেআইনিভাবে বিক্রি করে আসছিল। অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।