সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের জন্য। সড়ক থেকে এ বাহনগুলোকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই। এজন্য সচিবকে বলা হয়েছে দ্রুত নীতিমালা করার জন্য।
বুধবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে নিতি এসব কথা বলেন।
মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, যানগুলোর বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেশি। লাখ লাখ তিন চাকার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের কারণে সড়কের শৃঙ্খরা নিদারুণভাবে বিঘ্নিত করছে। তাই এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা দ্রুত করা হবে। জীবিকার জন্য জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না।
কাদের বলেন, ইজিবাইকসহ সড়কের অনেক কিছুতে জনপ্রতিনিধিদেরও সায় আছে। তারা কোথাও সরাসরি, আবার কোথাও পেছনে থেকে সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, রাজধানীতে একটি মোটরসাইকেলে দুজন এবং হেলমেট পরার বাধ্যবাধকতা থাকায় দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। এটা শুধু শহর নয়, মফস্বল ও গ্রামেও মানছে। ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকর করায় এটা সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের অনেক জেলায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব রাস্তা মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কগুলো শিগগিরই সংস্কার ও মেরামত করা হবে। এ ছাড়া এসব কাজের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।
এসময় মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের বলেন, সরকারে থাকা দলকে ‘নতজানু’ বলা বিরোধীদের ভাষা। কোন কারণে মির্জা ফখরুল এটি বলছেন তা স্পষ্ট করুক।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে যে গুলির কথা বলা হচ্ছে তা সরকারি বাহিনী নয়, বিদ্রোহী আরকানদের ছোঁড়ার গুলি। ফখরুল সাহেব যদি যুদ্ধে জড়াতে চান তাহলে অনেক কিছু বলতে পারেন। কিন্তু আমরা তার ফাঁদে পা দেবো না।
তিনি বলেন, সরকারে থেকে অনেক কিছু ভাবতে হয়। সার্বভৌমত্ব নিয়ে সরকারের চিন্তা বেশি, কারণ স্বাধীনতার দল আওয়ামী লীগ। তবে যদি সত্যিই আক্রমণ হয় তাহলে তো বসে থাকবেনা। তাদের সংঘাতের দুই-একটা গুলি এসে পড়লেই সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়না।