পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় একটি সামরিক চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৩৩ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ এ হামলায় আহত হন আরও ১২ জন। এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী একে বড় ধরনের হামলা বলে বর্ণনা করেছে।
২৭ এপ্রিল সকালে বুরকিনা ফাসোর ওগারউ-এর সামরিক পোস্ট লক্ষ্য করে এই হামলাটি চালানো হয়। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চৌকস সেনারা পৌঁছানোর আগেই এ ঘটনা ঘটে। তবে সেখানে ৪০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। আহত সেনাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত ৭ বছর ধরে সশস্ত্র জিহাদী গোষ্ঠী, আল কায়েদা এবং আইএসের সঙ্গে লড়াই করছে সেনাবাহিনী। দেশটিতে জঙ্গি ও সেনাদের লড়াইয়ের কবলে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী হামলায়ও প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তচ্যুত লাখ লাখ মানুষ।
বুরকিনা ফাসোর সশস্ত্র বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সামরিক নেতৃত্ব এই মাসের শুরুর দিকে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্তও শুরু করেছে।
বুরকিনা ফাসোয় চলমান সহিংসতা দেশটির সামরিক বাহিনীতেও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ২০২২ সালে দেশটিতে পরপর দুটি অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। দেশের এক-তৃতীয়াংশ সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
গত তিনদিন আগেও উত্তর বুরকিনা ফাসোয় সামরিক পোশাক পরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হন। তবে জাতিসংঘের তথ্যমতে, বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা আনুমানিক ১৫০ জন।