১০৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জায়ীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এনআইডি কার্ড তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এই কার্ড দেওয়া হবে।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য বীরত্বের একটি স্মারক এই কার্ড। হয়তো আপনি থাকবেন না। আপনার কার্ডটা থেকে যাবে। কার্ডটি হারাবেন না।’
দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চেতনার মূল্যবোধে ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমাণ ত্যাগ বাঙ্গালি জাতিকে করতে হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধের ঝাণ্ডা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সঞ্চারিত করতে হয়।’
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহারের বিধান করে ২০২০ সালে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর আলোকে ২০২২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে দুই বছর ধরে আটকে ছিল এ কার্যক্রম।
গত ৭ মে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ফের নতুন করে এ উদ্যোগ নেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত কার্ড দেওয়ার জন্য ইসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কার্ড দেওয়ার পাশাপাশি সেবা নিতে গিয়ে যেন প্রাপ্য সম্মান পান সেই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশেনের প্রতি আহ্বান জানান আগত মুক্তিযোদ্ধারা।