বিয়ে নিয়ে হৃতিক রোশনের অভিমত ভাবনাচিন্তা করে কিংবা পরিকল্পনা করে হয় না, যখন হওয়ার ঠিক হয়ে যায়। সুজ়ান খানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের পর বহু দিন মুখ খোলেননি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-এর নায়ক। এক সাক্ষাৎকারে হৃতিক রোশন বলেছিলেন, “বিয়ে তখনই হয়, যখন সেই বিশেষ মানুষটির খোঁজ মেলে। ভেবেচিন্তে কিছু হয় না।”
২০০০ সালে সুজ়ানের সঙ্গে দাম্পত্যের শুরু। দুই পুত্র রেহান আর হৃদান তাঁদের জীবনে আসে। তার বেশ কয়েক বছর পর, ২০১৪ সালে সম্পর্কে দাঁড়ি টানেন তারকাজুটি। বর্তমানে হৃতিক সম্পর্কে রয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী তথা অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে। এই সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্নও দেখছেন তাঁরা। মঙ্গলবার ৪৯-এ পা দিয়ে হৃতিক জানালেন, বিয়ে করতে পারেন শীঘ্রই।
রীতিমতো প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সাবা-হৃতিক। প্রথম থেকে প্রেমিকাকে কখনওই লোকচক্ষুর আড়ালে রাখেননি তিনি। ইতিমধ্যেই একত্রবাস শুরু করেছেন তাঁরা। নতুন ফ্ল্যাট ও কিনেছেন অভিনেতা। এ বার খুব শীঘ্রই নাকি চারহাত এক হতে চলেছে হৃতিক-সাবার! সাবাকেই ঘরনি করবেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন হৃতিক। বললেন, “আমি খুব খুশি। পরিপূর্ণ লাগছে। জীবনে এখন ভালবাসা রয়েছে, সাফল্যও রয়েছে। তাই শান্তি বিরাজ করছে। বিয়ের মতো যৌথতা তখনই আসে, যখন মনের মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক ভাবেই হয়, পরিকল্পনা করে নয়। বিয়ে করব ভেবে ফেললেই বিয়ে করা যায় না।”
অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহলেরও দাবি, সাবার সঙ্গে ভীষণ খুশি তিনি। এ ছাড়া হৃতিকের দুই ছেলে রেহান-হৃদানও পছন্দ করে সাবাকে। এই মুহূর্তে বেশ কিছু কাজ রয়েছে হৃতিক-সাবার হাতে। বছর শেষেই কাজের দায়বদ্ধতা হালকা হতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তাঁরা। গোটা পরিবার উপস্থিত থাকবে তাঁদের বিয়েতে। সম্পর্কের প্রথম থেকেই রোশন পরিবারের পছন্দের পাত্রীর সাবা। কিন্তু এই বিয়েতে হৃতিকের প্রাক্তন থাকবেন কি না, তা এখন জানা যায়নি।
এ দিকে, যেখানে হৃতিক রোশন সেখানেই সুজ়ান খান, অথবা এক জন যা করেন, অন্য জনও তা-ই করেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাঁরা প্রায়ই চর্চায় থাকেন সেই মজাদার সমাপতনে। যেন পরস্পরকে দেখিয়েই ভাল থাকার প্রতিযোগিতায় মেতেছেন প্রাক্তন দম্পতি। হৃতিক যেমন সাবা আজ়াদকে নিয়ে বছরশেষে সুইৎজ়ারল্যান্ড ঘুরলেন, সুজ়ানকেও এ বার গোয়ায় দেখা গিয়েছে আর্সলান গনির সঙ্গে।