The news is by your side.

বিষধর সাপ যারা দলে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা : নানক

0 656

 

 

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভেতরে গ্রুপ করার জন্য ফ্রিডম পার্টি, বিএনপি-জামায়াতকে যারা দলে ঢুকিয়েছেন, তাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সব স্থান থেকে খুঁজে বের করতে হবে। যারা দলে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পরপর তিন তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দলে কিছু বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছে। যারা এই বিষধর সাপকে দলে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগ কোন সনাতন দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি ত্যাগের নাম, অনুভূতির নাম।

বুধবার দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমির হলে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যারা দলের বহিরাগত, কোনো দিন দল করেনি, অথচ দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছেন তারা নিজেরাই কেটে পড়েন না। তাদের খুঁজে বের করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেছেন, দলের যত বড় রথি-মহারথি হোক না কেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, আমরা ২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন করবো। তার আগে জেলা-উপজেলা সম্মেলন শেষ করতে চাই। আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা সম্মেলন করবেন ভালো কথা। তবে সেখানে আমরা নিজের লোক খুঁজি, পারলে বাড়ির কাজের লোককেও কমিটিতে রাখতে চাই, তাদের নাম দিতে চাই, এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, জেলা-উপজেলায় সভাপতি, সম্পাদক নিজেরা কথা বলেন না। গ্রুপিং করেন কেন এতো? বিভাজন-বিভেদ কেন? মনে রাখতে হবে এদিন দিন নয়, আরও দিন আছে। দল করবেন, গ্রুপিং করবেন, সেটা আর বরদাশত করা হবে না।

নানক বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের মতামত শুনবো, তাদের দুঃখ-বেদনার কথা শুনবো।

তিনি সবাইকে দলের আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে মতামত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের মধ্যে, নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেটা যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান ফিজার প্রমুখ।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.