মহামারীজনিত দুর্ভোগকে পেছনে ফেলে টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল একটি প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে ভারত। চীনের জন্য করা পূর্বাভাসের প্রায় দ্বিগুণ হারে ভারতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অনুসারে, চীনের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় ভারতের প্রবৃদ্ধি এই বছর ৮ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা অবশ্য সতর্ক করেছেন যে, এ গতি বজায় রাখার মুখে ইউক্রেন সংকটের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ ভারতও জ্বালানির দাম ও উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির সাথে লড়াই করছে যা বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ভারতের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো অসম প্রবৃদ্ধি। তথ্য প্রযুক্তিসহ কিছু ক্ষেত্রে যখন চাকরি এবং আয় ফিরে এসেছে তেমনি মহামারী চলাকালীন জীবিকা হারানো লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনো লড়াই করছে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও দরিদ্রবান্ধব কর্মসংস্থান কর্মসূচির অধীনে কাজ খোঁজা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এটি ক্রমাগত সঙ্কটের লক্ষণ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর ২৫ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি পরিবার এ কর্মসূচির অধীনে নথিভুক্ত হয়েছিল। এ সংখ্যা মহামারীর আগে ২০১৯ সালে নথিভুক্ত হওয়া ১৮ কোটি ৬০ লাখের চেয়ে অনেক বেশি।
এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই প্রত্যাবর্তন উল্লেখযোগ্য। ২ সপ্তাহ আগে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছিলেন, “ভারতের জন্য এটি ভালো, এছাড়াও বিশ্বে প্রবৃদ্ধির হ্রাস যেখানে বড় সমস্যা তৈরি করছে সেখানে এটি ইতিবাচক“।