উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ গঠন এবং সবুজ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশকে আরও প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এই ঋণ অনুমোদন দেয় তারা।
যমুনা নদী রক্ষায় বাংলাদেশকে ১০২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১১ কোটি ২১ লাখ ৮ হাজার ৮১২ টাকার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার বিশ্বব্যাংক যমুনা নদীতীর সুরক্ষা, নাব্যতা বৃদ্ধি, নদীতীরের মানুষদের বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করতে, তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে এ ঋণ অনুমোদন করেছে।
অনুমোদিত ঋণের মধ্যে রয়েছে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নের জন্য ৫০ কোটি ডলার। এ প্রকল্পে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উদ্যোক্তা তৈরি এবং জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা করবে।
অপর একটি প্রকল্প হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন। এতে ৫০ কোটি ডলার দেওয়া হবে। এতে বাংলাদেশকে সবুজ এবং জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে সহায়তা করবে।
এ ছাড়া ২৫ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই উত্তরণে সহায়তা করবে, এই খাতকে আরও গতিশীল করবে, দূষণ কমাবে, সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষ্য রাখে, উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণের জন্য আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং নীতির প্রয়োজন হবে।