The news is by your side.

বিশ্ববাজারে কমলেও দেশে কমছে না জ্বালানি তেলের দাম

0 111

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এর সুফল পাচ্ছে না দেশের ক্রেতারা। লোকসান হচ্ছে, এই যুক্তিতে দেশের বাজারে দাম কমাচ্ছে না সরকার। জ্বালানি পণ্য সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।

গতকাল মারবান ক্রুডের (যা বাংলাদেশ আমদানি করে) দাম নেমেছে ব্যারেলপ্রতি ৭৫ ডলারে। এটি চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ৫ আগস্ট দেশে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে মারবান ক্রুডের দাম ছিল ১০০ ডলারের কাছাকাছি। দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত ডিজেল, যা পরিশোধিত আকারে বেশি আনা হয়, তার দাম আগস্টে ছিল ১৫৫ ডলার। এটি চলতি সপ্তাহে কমে ১০৫ ডলারে নেমেছে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালনি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা-বাড়া অস্থিতিশীল একটা পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের একটু বুঝেশুনে দাম নির্ধারণ করতে হবে। এখনই দাম কমছে না।

বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও প্রতি ডলারে ৮-১০ টাকা অবমূল্যায়নের কারণে ডিজেল বিক্রিতে লোকসান হচ্ছে। এখন প্রতি লিটারে ৩ থেকে ৪ টাকা লোকসান হচ্ছে। দিনে ক্ষতি হচ্ছে ৮ কোটি টাকা। তবে খাত-সংশ্নিষ্ট অনেকেই বলছেন, বর্তমান বাজারদরে ডিজেল বিক্রিতে বিপিসির লাভ হওয়ার কথা। এ ছাড়া ফার্নেস অয়েল, পেট্রোল, অকটেন, জেড ফুয়েল বিক্রি করে লাভ করছে বিপিসি।

জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় দেশেও দাম কমানো উচিত। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, সরকার জনগণের কথা ভাবে না। তারা খোঁজে শুধু মুনাফা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.