চাহিদা কমার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে একটি মন্দার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে কমে চলেছে জ্বালানি তেলের দাম। ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, আজ সোমবার বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১.১৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৮৭.৯৩ ডলার। যা ছয় মাসে সর্বনিম্ন। এর পাশাপাশি লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১.২৯ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৩.৭১ ডলার।
এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউটিআই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল কমেছে ৬.১০ শতাংশ এবং লন্ডনের ব্রেন্ট অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রতি ব্যারেল ৬.১৮ শতাংশ।
ট্রেডিং ইকোনমিকস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর এত নিম্নমুখী হলো তেলের দাম। এ মুহূর্তে মন্থর বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা। ইতোমধ্যে শিল্প কার্যক্রম কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমেছে। ফলে তেলের মূল্য কমেছে।
মাত্র ২ মাস আগেও ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ছিল ১২০ ডলারের ওপরে। তবে ধীরে ধীরে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য কমছে। সাম্প্রতিক সময়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোতে উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদাও কমেছে। এছাড়া সময় যত গড়াচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা তত বাড়ছে। এতে তেলের দর কমছে।
বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্ববাজারে চাহিদা কমায় তেলের দাম কমছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চীনের গত জুলাই মাসে তেল আমদানি এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ৯.৫ শতাংশ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির জেরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তেলের চাহিদা কমবে এমন আশঙ্কাতেও দাম পড়ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের তেলের মজুদও বেড়েছে। এর ফলে রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার ফলে তেলের দাম যেটুকু বেড়েছিল তা আবারও আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।