পুরুষ তারকাদের পাশাপাশি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন একের পর এক সফল ছবিতে। যে সময় পুরুষ অভিনেতা ছাড়া কারও কপালে ‘তারকা’ তকমা জুটত না, বলিউডে সেই সময়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। নারীপ্রধান ছবির জোয়ার যখন আসছে বলিউডে, তখন একের পর এক ছবিতে নজর কেড়েছে তাঁর কাজ।
নিজের কর্মজীবনের শিখরে থাকাকালীন বলিউড ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন সুদূর আমেরিকায়। প্রায় এক দশক ধরে সেখানে কাজ করার পর এখন হলিউডের নয়নের মণি তিনি।
গোটা বিশ্ব এখন তাঁকে চেনে এক নামে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া বা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস নন— তিনি প্রিয়ঙ্কা। পদবি নয়, শুধু মাত্র তাঁর এই নামের জোরেই গোটা দুনিয়ায় পরিচিত হতে চান তিনি, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানালেন ‘গ্লোবাল আইকন’।
যশ ও খ্যাতি বাড়লে তার ভারে ঢাকা পড়ে যায় পদবি। ঠিক যেমনটা হয়েছে হলিউড তারকা ‘মুনস্ট্রাক’ ছবির কিংবদন্তি গায়িকা-অভিনেত্রী শের-এর ক্ষেত্রে। বা, ভারতীয় অভিনয় জগতের অন্যতম নক্ষত্র রেখার ক্ষেত্রে। তাঁদের পদবি কী? জানেন না বেশির ভাগ অনুরাগীই। স্রেফ নিজের নামের জোরে নিজেকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাঁরা।
পেশাগত জীবনে তাঁদের পদাঙ্কই অনুসরণ করতে চান প্রিয়ঙ্কা। ‘সিটাডেল’-এর প্রচারে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকানরা শুধু মাত্র এক জন প্রিয়ঙ্কাকেই চেনেন। ভারতে আমি প্রিয়ঙ্কা চোপড়া হতে পারি, কারণ ওখানে প্রিয়ঙ্কা নামের একাধিক ব্যক্তি আছেন। কিন্তু হলিউডে আমিই এক এবং অদ্বিতীয়। সেখানে আমি শুধুই প্রিয়ঙ্কা। আমি তো আমার পদবি খুব একটা ব্যবহারও করি না এখানে। আমি শের-এর মতো হতে চাই, বা রেখার মতো! স্রেফ প্রিয়ঙ্কা।’’
‘গেম অফ থ্রোন্স’ খ্যাত অভিনেতা রিচার্ড ম্যাডেনের সঙ্গে ‘সিটাডেল’-এর অভিনয় করার পর এ বার পরের প্রজেক্টের কাজ শুরু করার মুখে প্রিয়ঙ্কা। সেখানে হলিউড তারকা ইদ্রিস আলবা ও জন সিনার সঙ্গে দেখা যেতে চলেছে দেশি গার্লকে। তা ছাড়াও, খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে ‘লভ এগেন’।