ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগে এবারের আসরে অংশ নেওয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন সাকিব আল হাসান, যা কিনা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো বোলারের জন্য প্রথম।
শনিবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই সাকিব গড়েছেন আরো এক কীর্তি। ছাড়িয়ে গেছেন বিশ্বকাপের আরো এক রেকর্ড বইয়ে নিজের পজিশন।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপে দলের হয়ে একক রাজত্ব দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাই এবারের বিশ্বকাপেও সমর্থকদের নজর ছিল তার ওপর। এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও হতাশ করেননি ভক্তদের। প্রথম ম্যাচে ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যখন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার টাইগার পেসারদের মোকাবিলা করে রান তুলে যাচ্ছিলেন, সে সময় বল হাতে এসে ইব্রাহিম জাদরানকে বিদায় করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। দ্বিতীয় উইকেটও শিকার করেন তিনি। এর পরের চিত্র তো সবারই জানা। মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল আর তাসকিনদের সমন্বয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। তাদের মাঝ দিয়েও ১ উইকেট নেন সাকিব।
এটি সাকিবের পঞ্চম বিশ্বকাপ। ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে টাইগারদের বিশ্বকাপ মাতাচ্ছেন তিনি। এবারের আসরে গতকাল আফগানদের সঙ্গে ইনিংসে আইসিসি বিশ্বকাপে স্পিন বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন সাকিব। এই ম্যাচের আগে এত দিন এই তালিকার সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকারি ছিলেন লঙ্কান বোলার মুত্তিয়া মুরুলিধরন (৬৮), দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির (৪০) ও কিউই স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (৩৬)। সাকিবের ঝুলিতে ছিল ৩৪ উইকেট। তবে এই ম্যাচের পর এখন সাকিবের উইকেটের সংখ্যা ৩৭ আর এই সংখ্যক উইকেট শিকার করতে তাকে খেলতে হয়েছে ৩৪ ম্যাচ, এর মধ্যে বোলিং করেছেন ৩৩ খেলায়।
বাংলাদেশের এখন বাকি প্রথম পর্বের আরও ৮টি ম্যাচ। আর এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইমরান তাহিরকে ছুঁতে সাকিবের দরকার মাত্র তিন উইকেট।