নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আলোচিত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছেন।
শনিবার বিকালে মোট ৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম।
আবদুল কাদের মির্জার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ) কামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৮ ভোট। এছাড়া জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোবাইল ফোন) মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫১ ভোট।
নির্বাচনে জয়ের পর আবদুল কাদের মির্জা ভোটের পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভোটারদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা পর্যন্ত বিজয়ের মালা পরব না।
নোয়াখালীতে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে বসুরহাট পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১নং কেন্দ্র উদয়ন প্রিক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, সকাল ৯টার দিকে ৫নং বসুরহাট এএইচসি কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী ও ৮নং বসুরহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিজেদের ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনী ফলাফল পাওয়ার পর আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এ জয় বঙ্গবন্ধুর জয়, এ জয় শেখ হাসিনার জয়, এ জয় ওবায়দুল কাদেরের জয়, এ জয় বসুরহাট পৌরবাসীর জয়। আমি এ জয় আমার দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর মাঝে উৎসর্গ করে দিলাম। আমি দলমত নির্বিশেষে বসুরহাট পৌরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সুষ্ঠু ভোট করার জন্য। আমি আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে পৌরবাসীকে যে ওয়াদা দিয়েছি, তা পূরণ করব। আমি ওবায়দুল কাদেরের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা সুন্দর একটা নির্বাচন উপহার দিয়েছেন।
পৌরসভাটিতে নির্বাচিত কাউন্সিলররা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে সাইফুর রহমান সোহাগ (আওয়ামী লীগ সমর্থিত), ২নং ওয়ার্ডে আবুল হোসেন আরজু (আওয়ামী লীগ সমর্থিত), ৩নং ওয়ার্ডে নুর হোসাইন ফরহাদ (আওয়ামী লীগ সমর্থিত), ৪নং ওয়ার্ডে মাজহারুল হক তৌহিদ (বিএনপি সমর্থিত), ৫নং ওয়ার্ডে হারুন-অর-রশিদ শাহেদ (স্বতন্ত্র), ৬নং ওয়ার্ডে জসীম উদ্দিন তালুকদার (আওয়ামী লীগের বিদ্রাহী প্রার্থী), ৭নং ওয়ার্ডে মো. রাসেল (আওয়ামী লীগ সমর্থিত), ৮নং ওয়ার্ডে নুর নবী সবুজ (বিএনপি সমর্থিত) ও ৯নং ওয়ার্ডে এবিএম ছিদ্দিক (আওয়ামী লীগ সমর্থিত)।