কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে বিজেপির থেকে অনেকটা এগিয়ে কংগ্রেস। তবে কিছু আসনে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে প্রবল লড়াই হচ্ছে। শেষ খবর যাওয়া পর্যন্ত কর্ণাটকে কংগ্রেস এগিয়ে। ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে দরকার ১১৩টি আসন।
কংগ্রেস ১১৭টি আসনে এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে ৭১টি আসনে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার জেডিএস এগিয়ে ৩০টি আসনে। এগিয়ে-পিছিয়ে থাকার এই প্রবণতা বজায় রাখলে কংগ্রেস আবার কর্ণাটকে সরকার গঠন করতে পারে। তবে পরিস্থিতি স্পষ্ট হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
কংগ্রেস গতবারের তুলনায় ৩৭টি আসন বেশি পেতে চলেছে। এই প্রবণতা বজায় থাকলে তারা বিজেপির থেকে ৩০টি আসন ও জেডিএসের থেকে সাতটি আসন ছিনিয়ে নিতে পারে। ভোট পাওয়ার হারও গতবারের থেকে পাঁচ শতাংশ বাডা়তে পেরেছে কংগ্রেস।
কর্ণাটক হলো কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজ্য। তিনি এখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে ১২ দিন সময় দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২৬টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত অনেকদিন পর ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা কর্ণাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা খুবই শক্তিশালী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার খুবই দক্ষ সংগঠক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জনভিত্তি আছে। ভোটের আগে বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটে লড়েছেন।
বিজেপির প্রচারে সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি ও অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি জনসভা ও রোড শো করেছেন। রাজ্য নেতাদের মধ্যে প্রার্থী করা নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ ছিল। আর ভোট সমীক্ষাগুলির মতে, মানুষের ক্ষোভ ছিল দুর্নীতি, চাকরি না পাওয়া ও জিনিসের দাম নিয়ে।