কক্সবাজার অফিস
৬৫ হাজার ২৫০মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে ভিড়ল হংকংয়ের পতাকাবাহী নামক একটি বড় জাহাজ। এটি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা দ্বিতীয়তম জাহাজ। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ২২৯ মিটার লম্বা ও ১২ দশমিক ০৫ মিটার ড্রাফটের এই জাহাজ বন্দরে নোঙর করে। চট্টগ্রাম বন্দরের অভিজ্ঞ পাইলট মো. মাসুদ হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম জাহাজটি জেটিতে নিয়ে আসেন। এ কাজে সহায়তা করে চট্টগ্রাম বন্দরের শক্তিশালী টাগ কাণ্ডারী ২ ও কাণ্ডারী ৪সহ চারটি টাগ।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, হংকংয়ের পতাকাবাহী ণগ ঊঘউঊঅঠঙটজ নামক জাহাজটি ২২৮ দশমিক ৯৯ মিটার লম্বা। পানির নিচে জাহাজটির গভীরতা (ড্রাফট) সাড়ে ১২ মিটার। আশাকরা হচ্ছে শনিবার (২০ মে) থেকে এ জাহাজের কয়লা খালাস শুরু হবে। সমুদ্র থেকে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার চওড়া কৃত্রিম মধ্য দিয়ে জাহাজগুলো জেটিতে আনা হচ্ছে। এ দুইটি জাহাজের আগে ১১২টি জাহাজ ভিড়লেও সেগুলোতে ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উপকরণ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল কয়লা নিয়ে আসা দ্বিতীয়তম জাহাজ এটি।
এর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ২২৯ মিটার দীর্ঘ পানামার পতাকাবাহী এমভি ‘অউসো মারো’ মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙরে আসে। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ এবং কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রথম কয়লা নিয়ে আসা জাহাজ। জাহাজটি সফলভাবে কয়লা খালাস করে গত ৭ মে সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে মাতারবাড়ী জেটি ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এখন সর্বোচ্চ ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ আনার সুযোগ আছে। পায়রাবন্দরেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভিড়েছে ১০ দশমিক ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ। কিন্তু ‘অউসো মারো’র মতো দীর্ঘ ও ড্রাফটের জাহাজ এটি প্রথম।
চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, মাতারবাড়ী বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির। এখন পর্যন্ত দুইটি বড় জাহাজ ভিড়েছে। এ সাফল্য মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এখন একের পর এক জাহাজ আসবে কয়লা নিয়ে।মাতারবাড়ীতে সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের আওতায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস জেটি এবং ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কনটেইনার জেটি নির্মিত হবে।
এম. ওসমান গণি