নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যবসায়ীদের দাবির কারণে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চালু করা হয়েছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ী ছাড়াও জনসাধারণ দাবি করেছিল বলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অডিট সংক্রান্ত কারণে কিছু ব্যবসায়ী তাদের বৈধ সম্পদ দেখাতে পারছেন না, সে কারণে এই সুযোগটা দেওয়া হয়েছে।
কালো টাকা যারা তৈরি করেন, তারা অর্থনীতিতে সেই টাকা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কালো টাকা মুলত দেশের বাইরে চলে যায়। কালো টাকাটা ভোগ-বিলাসের জন্য তৈরি করা হয়। জমি ক্রয়-বিক্রির সময় কিছু টাকা কালো হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে যারা রিটার্নে যেসব সম্পদ দেখাতে পারেননি, সেই সম্পদ দেখানোর জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা অনেক দেশেও দেওয়া হয়ে থাকে।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ এই সুযোগে তার অপ্রদর্শিত সম্পদ বৈধ করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মুনিম বলেন, ‘বিষয়টি এখন আদালতের এখতিয়ারে আছে।’
গতকাল অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই অঘোষিত সম্পদ বৈধ করার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাবে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, কোম্পানি ও করদাতারা নগদ, ব্যাংক আমানত, আর্থিক সিকিউরিটিজ বা অন্য কোনো ধরনের সম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিলে এর উৎস সম্পর্কে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
এছাড়াও, নির্দিষ্ট ট্যাক্স দেওয়ার মাধ্যমে অপ্রদর্শিত জমি, ভবন, ফ্ল্যাট বা বাণিজ্যিক স্থানকে বৈধ করে নেওয়া যাবে।