যার শেষ তার রেখে যাওয়া স্মৃতি থেকে যায়। সে স্মৃতি বিষাদের হোক বা আনন্দের। তেমনই অনেক স্মৃতি রেখে বিদায় নিচ্ছে ২০২২ সাল। ডুবে গেছে এ বছরের শেষ সূর্য। ভোরে নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে উঠবে নতুন সূর্য। সেই সূর্যের আলোয় ধুয়ে-মুছে যাবে সব গ্লানি, দুঃখ আর কষ্ট। এই প্রত্যাশাতেই পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গোটা বিশ্বের মানুষ।
মধ্যরাতে শুরু হবে বর্ষবরণ আয়োজন। তবে কিছু নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০২৩ উদযাপন ঘিরে ৩১ ডিসেম্বর (থার্টিফার্স্ট) রাতে ঢাকা মহানগর এলাকায় জনশৃঙ্খলা ও যানবাহন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে যানবাহন চলাচলে কিছু সাময়িক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি।
এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইট বাসায় কিংবা বাড়ির ছাদে কোথাও জনসমাগম করে উদযাপন করা যাবে না বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। থার্টিফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে লোকসমাগম ও কোনো পার্টি করা যাবে না।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা দেশের সব বার বন্ধ থাকবে। তবে সীমিত আকারে হোটেলগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে। কিন্তু ডিজে পার্টি করা যাবে না।
বিদায়ি বছরে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকট-অস্থিরতা যেমন ছিল, জাতিগত বেশকিছু অর্জনও ছিল এই বছর। পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেলের মতো বড় অবকাঠামো উদ্বোধন করা হয়েছে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলেও দেওয়া হয়েছে। করোনায় মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ক্রীড়াক্ষেত্রে মেয়েদের সাফ ফুটবল জয় দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, ঋণখেলাপি, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে জনসাধারণকে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বিদায়ি বছরটিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে শক্তিশালী করছে—অভিযোগ তুলে রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিকে আক্রমণ শুরু করে। বিশ্ব অর্থনীতি করোনায় সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এ যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে অনুন্নত ও উন্নয়ন দেশগুলোতে খাদ্যমূল্য বেড়ে যায়।