নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সানিয়া মির্জা। তাই দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস প্রতিযোগিতাকেই ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ভারতের এই টেনিস সেনসেশন। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সী একসময়ের নাম্বার ওয়ান এই টেনিস তারকার শেষ যাত্রাটা রঙিন হলো না।
মঙ্গলবার নারীদের ডাবলসে প্রথম রাউন্ডেই ভার্নোকিয়া কুদেরমেতোভা-লিউডমিলা সামসোনোভা জুটির কাছে সরাসরি ৬-৪, ৬-০ সেটে হেরে যায় সানিয়া-ম্যাডিসন জুটি। এই হারের সঙ্গে সঙ্গে সানিয়ার দুই দশকের বর্ণিল ক্যারিয়ারেরও পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
২০০৩ সালে পেশাদার টেনিসে পা রেখেছিলেন সানিয়া। এরপর শুধু ভারতের নয়, হয়ে উঠেছিলেন এশিয়ান মহিলা টেনিসের মুখ। একসময় সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভাদের মতো বিশ্বতারকাদের সঙ্গেই উচ্চারিত হতো সানিয়ার নাম। তবে বারবার চোটের আঘাতে পড়ে নিজের ইচ্ছেতেই অবসরের সময় বেছে নিয়েছেন সানিয়া।
বিশ্ব টেনিসের আঙিনায় ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন সানিয়া মির্জা। কোনো টুর্নামেন্টের একক গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি তিনি। তবে সর্বোচ্চ চতুর্থ রাউন্ডে উঠতে পেরেছিলেন ইউএস ওপেনে। তবে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে ২৭ পর্যন্ত উঠেছিলেন তিনি।
ডব্লিউটিএ ডাবলস র্যাঙ্কিংয়ে টানা ৯১ সপ্তাহ শীর্ষে ছিলেন সানিয়া। ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসে তার গ্র্যান্ড স্লামের সংখ্যা ছয়টি। গত জানুয়ারিতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলোয়াড় জীবনের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলতে নেমেছিলেন সানিয়া। নারী ডাবলসে দ্বিতীয় রাউন্ডেই আটকে গেলেও রোহন বোপান্নাকে নিয়ে মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু শেষবারের মতো খেতাব জয় অধরা থেকে গেছে সাবেক এই চ্যাম্পিয়নের।
দুবাইয়ে বিদায়বেলায় সানিয়ার শিরোপা জয়ের আশা ছিল ভক্তদের মনে। কিন্তু ভক্তদের সেই আবদার পূরণ করতে পারলেন না তিনি। তাদের জুটি প্রথম সেটে কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় সেটে প্রত্যাশিত মতো লড়াই করতে পারল না। তাই এখন থেকে প্রাক্তনদের তালিকায় উঠে গেল ভারতের সর্বকালের সেরা মহিলা টেনিস খেলোয়াড়ের নাম।