বগুড়ায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ছয় সদস্যসহ বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়ার মোড়ে এবং পরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বেলা এগারোটায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দুই অংশে ভাগ হয়ে পদযাত্রা শুরু করে। শহরের উত্তরপ্রান্ত মাটিডালি এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক অংশ অপর অংশ দক্ষিণ বনানী এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরে প্রবেশ করে।
পদযাত্রা যখন শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়ে আসে তখন পুলিশ তাদের মূল শহর সাতমাথায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এতে কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড ছুড়তে থাকে পুলিশের দিকে। পরে পুলিশ কিছুটা পিছু হটলে পদযাত্রাটি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে নেতাকর্মীরা ইট ছুড়তে থাকে পুলিশের দিকে।
পরে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গুলি ছোড়া শুরু করে। তখন নেতাকর্মীরা পিছু হটে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি, টিয়ার শেল ছুড়েছে।
এখনো থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি মতে বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের ১০ জন সদস্য আহত হয়।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা দাবি করেন, পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ইয়াকুবিয়ার মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করার কথা। পদযাত্রা নিয়ে সরাসরি সাতমাথায় যাওয়ার কোনো অনুমতি ছিল না। তারা পদযাত্রা নিয়ে সাতমাথা যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে টিয়ারশেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা নবাববাড়ি সড়কে সদর ফাঁড়িতে হামলা চালায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে।