আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানের বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। বিশ্বে প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় এর ব্যত্যয় ঘটানোর অবকাশ নেই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এ দেশের গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে বিএনপিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অপশক্তি। অগণতান্ত্রিক পন্থায় সামরিক সেনাছাউনিতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি সর্বদা গণতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত।
তিনি বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশের অগ্রসরমান গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের নামে সর্বদা এ দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ২১ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করে। স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার শাসনামলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে গুম-খুন মিথ্যা মামলা ও অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।