রাজপথে শক্তি প্রদর্শনে আজ বুধবার মাঠে নেমেছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি একই সময়ে রাজধানীতে মাত্র এক কিলোমিটার ব্যবধান দূরত্বে বড় কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে দেখা গেছে রাজনৈতিক ‘উত্তাপ’।
সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জমায়েত হচ্ছেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা আসছেন। সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ‘এক দফা’ ঘোষণা করবে দলটি। এদিকে, বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে বিএনপিকে। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে।
দুপুরের আগেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে ভরে গেছে সমাবেশস্থল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে। নির্বাচন ঠেকানো যাবে না—সমাবেশ থেকে এই বার্তা দেবে ক্ষমতাসীন দল।
যদিও পুলিশ ২৩ দফার একই ধরনের শর্তে দুই দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে; তবে দল দুটির বড় জমায়েত দেখানোর চেষ্টায় জনমনে কিছুটা আতঙ্কও রয়েছে।
রাজধানীর রাস্তায় যানবাহন চলাচল তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে।
পুলিশ অবশ্য দুই দলের সমাবেশের এলাকাতেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শুরুতে গত ডিসেম্বরে ঢাকায় তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়েছিল। দলটির নেতারা বলছেন, সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপে এসে তাঁরা এখন সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে যাচ্ছেন। কারণ, নির্বাচনের মাত্র মাস ছয়েক সময় রয়েছে। সে জন্য তারা তাদের আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপকে এগিয়ে নিতে চাইছেন।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী তাদের সরকারের অধীন নির্বাচন করার অবস্থানে অটল।
দুপুর ৩টা থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে শুরু হয় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ।
পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট সংলগ্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সাদা পোশাকে কাজ করছেন গোয়েন্দা সদস্যরা। ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ বলছে, সমাবেশের নামে পরিবহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল কিংবা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।