The news is by your side.

বিএনপির নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

0 207

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটির নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও এর বৈধতা নিয়ে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ বাড়াবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হোক, সবসময় এটাই আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) চাওয়া।’

ওই প্রশ্নে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে (আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা। ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চোখে এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে নাকি (বিএনপির নির্বাচন বয়কটের প্রেক্ষাপটে) নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্তি ও বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াবে?’

মিলার এই প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বারবার আমার দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে (কথা বলা থেকে) আমি বিরত থাকব।’

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম অধিকার নীতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন, যারা শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘন করবে, হুমকি দেবে বা শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন করবে তারা প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারে। বাংলাদেশে মজুরি বৃদ্ধি আন্দোলনে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাঁচজন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কি কোনও ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে সহিসংতা, শ্রমিক এবং ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার মতো বিষয়গুলোতে আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। এক্ষেত্রে আমাদের মূলনীতি হলো- কোনও ধরনের সহিসংতা, প্রতিশোধপরায়ণতা ও ভীতি প্রদর্শন ছাড়াই শ্রমিকরা যাতে স্বাধীনভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং মালিকপক্ষের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরতে পারে সেই অধিকার সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.