বাবর আজমের স্বপ্নভঙ্গ: ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়
বিশেষ প্রতিনিধি
শেষ পর্যন্ত থামানো গেলনা অপ্রতিরোধ ইংল্যান্ডকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে তুরি মেরে উড়িয়ে শেষ হাসিটা হাসলো টিম ইংল্যান্ড।
১৩৭ প্রাণের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুতে খানিকটা হোঁচট খায় ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
মিডল অর্ডারদের পেশাদারি এবং অসাধারণ ব্যাটিং এ শঙ্কার কালোমেঘের মিলিয়ে যায় মেলবোর্নের আকাশে। ১৯৯২ এর স্বপ্নভঙ্গের প্রতিশোধ নিয়েই যেন এবার টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিলো ইংল্যান্ড। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জিতে নিলো ইংল্যান্ড।
রোববার (১৩ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই বিদায় নেন আলেক্স হেলস। শাহিন শাহ আফ্রিদির ওভারের শেষ বলে স্টাম্প ভাঙে হেলসের। উইকেট হারালেও নিজের রিদম হারায়নি ইংল্যান্ড। জস বাটলার ও ফিলিপ সল্ট খেলতে থাকেন আক্রমণাত্মক ঢঙে। চতুর্থ ওভারে হারিস রউফের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সল্ট। ৮ বলে তিনি করেন ১০ রান। সল্টের পর বাটলারকেও ফেরান সেই রউফ। ১৭ বলে ২৬ রান করেন ইংলিশ ওপেনার।
ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারায় দলীয় ৪৫ রানে। এরপর ৩৯ রানের জুটি গড়েন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। ব্রুককে বিদায় করেন শাদাব খান। ২৩ বলে ২০ রান করেন ইংলিশ ব্যাটার। শেষ দিকে ঝড় তুলে মঈন আউট হন ১৩ বলে ১৯ রান করে। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি, শাদাব ও ওয়াসিম।
এর আগে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাত খুলে খেলতেই পারেননি বাবররা। টি-টোয়েন্টিসুলভ খেলা শাদাব খান করেন ১৪ বলে ২০ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে দারুণ হিসাবি ছিলেন স্যাম কুরান ও আদিল রশিদ। ৩৪ রান দিয়ে দুজনে মিলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৯ রান তুলে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন স্যাম কুরান। দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ইনসাইড এজ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তিনি। ফেরার আগে ১৪ বলে ১৫ রান করেন পাকিস্তান ওপেনার। রিজওয়ানকে আউট করার ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেন কুরান। কুরান কিপটে বোলিং করলেও খরুচে ছিলেন তার সতীর্থ ক্রিস ওকস। প্রথম ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে কোনো উইকেটও নিতে পারেননি তিনি। বেন স্টোকস এক ওভারে দিয়েছিলেন ৮ রান। আর পাকিস্তান পাওয়ার-প্লে শেষে করে ৩৯ রান।
অষ্টম ওভারে আদিল রশিদের হাতে বল তুলে দেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। অ্যাটাকে এসে প্রথম বলেই সাফল্যের দেখা পান রশিদ। তার শর্ট বলে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন মোহাম্মদ হারিস। ১২ বলে কেবল ৮ রান করেন তিনি। ইংলিশ লেগ স্পিনার ওই ওভারে দেন ৫ রান। ৬ ওভার শেষে ৩৯ রান তুলেছিল পাকিস্তান। সেই চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন বাবর আজম ও শান মাসুদ মিলে। কিন্তু রশিদের ঘূর্ণিতে ১২তম ওভারে সাজঘরে ফিরতে হয় পাকিস্তান দলপতিকে। ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হয়েছেন বাবর। তার ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। ৬ বল খেলে ইফতিখার এক রানও যোগ করতে পারেননি স্কোর বোর্ডে। তাকে শিকারে পরিণত করেন বেন স্টোকস।