সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সংকট ও স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
মানুষজন বাঁধ ও উচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রাণীগ্রামের পাশাপাশি বাঁধ অভ্যন্তরে বসবাসকারী খোকসাবাড়ি নতুনপাড়া, কারিগরপাড়া, গুণেরগাতি, পুঠিয়াবাড়ি ও চর মালসাপাড়া, সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বিয়ারা ও সয়দাবাদ এলাকা কয়েক শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব মানুষ বাঁধ ও আশপাশের উচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টা থেকে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৩৫ এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ২২ জুন পর্যন্ত পানি বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে, অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া ও বড়াল নদীর পানিও বাড়ছে। ফলে আবাদি জমির ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। ভোগান্তি বেড়েছে এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষের। এছাড়াও জেলার চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গন কবলিতরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে পানি বাড়লেও আতঙ্কের কিছু নেই। নদী তীরের বাঁধ রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত স্থানগুলোতে কাজ চলছে।