The news is by your side.

বাজারে ৫ কোটি টাকার জাল নোট,  আটক ৯

0 141

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দুই মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকার জাল টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে একটি চক্র। চক্রটি আরও ২ থেকে ৩ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। রোববার রাজধানীর লালবাগের কাশ্মীর লেন থেকে চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।

সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আটক ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা ও মহাজন খ্যাত বাবুল মিয়া, তার স্ত্রী মিনারা খাতুন, প্রধান কারিগর সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মিলি খাতুন, কারিগর আলপনা আক্তার, ইব্রাহিম, আফাজুল ওরফে রাসেল, হাবিবুল্লাহ ও দুলাল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গতকাল (২৫ জুন) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একটি টিম ওই থানার কাশ্মীরি লেন এলাকায় বিশেষ সূত্র ধরে ইব্রাহিম, আফাজুল ওরফে রাসেল, হাবিবুল্লাহ এবং দুলাল হোসেনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কাশ্মীর লেনে একটি জাল টাকার কারখানার সন্ধান দেন। তাদের দেখানো একটি ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলা এবং তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির একটা ঘরোয়া কারখানার খোঁজ পায় ডিবি লালবাগ। সেখানে জাল টাকা তৈরিরত অবস্থায় কারখানার মহাজন বাবুল মিয়া, তার স্ত্রী মিনারা খাতুন, মূল কারিগর সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মিলি খাতুন, কারিগর আলপনা আক্তারকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি টিনের ট্রাংকে প্রস্তুত করে রাখা আরও ৮২ লাখ জাল টাকা জব্দ করা হয়।’

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় ঘরোয়া কারখানা থেকে জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জলছাপ যুক্ত বিশেষ কাগজ, বিভিন্ন রকমের মনোগ্রাম সংবলিত স্ক্রিন, ডাইস, বিভিন্ন রং এর কালি, কাগজ কাটার যন্ত্র, কাঁচি, চাকুসহ প্রায় ২ কোটি জাল টাকা তৈরি করার উপযোগী সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে বাবুল জাল টাকা নিয়ে এ পর্যন্ত ছয় বার, তার স্ত্রী মিনারা খাতুন তিনবার এবং সাইফুল ইসলাম দুইবার বিভিন্ন মেয়াদে জেল হাজতে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পেতে তাদের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। উচ্চ সুদে ধার নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে আবারও তারা একই কাজে জড়িত হয়। আটক কৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.